স্বদেশ ডেস্ক:
নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী সংস্থা জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান শুক্রবার সতর্ক করেন, আরো শত শত কোটি ডলার তহবিল না পাওয়া গেলে আগামী ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে গণ-দেশান্তর, দেশে দেশে অস্থিতিশীলতা এবং অসংখ্য আনাহারী শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দেখবে বিশ্ব।
ডেভিড বিসলি গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কাছ থেকে আসা বাড়তি তহবিলের প্রশংসা করেন এবং চীন, উপসাগরীয় দেশ, কোটিপতি ও অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি ‘বড় আকারে উদ্যোগ গ্রহণের’ আহ্বান জানান।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সিন্ডি ম্যাককেইনের হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর জানান, ডব্লিউএফপি এ বছরের প্রাক্কলন অনুযায়ী ৪৯টি দেশের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষের জরুরি খাদ্য চাহিদা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার ২৩ হাজার কোটি ডলার। ডব্লিউএফপি এই অর্থের যোগান দিতে পারবে কি না, সে বিষয়ে তিনি ‘গভীর উদ্বেগে’ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, এ পর্যায়ে এসে যদি ৪০ শতাংশ তহবিলও পাওয়া যায়, আমি বিস্মিত হব’।
তিনি সতর্ক করেন, ‘গোটা বিশ্বকে অনুধাবন করতে হবে যে আগামী ১২ থেকে ১৮ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর, আমরা যদি অর্থায়নের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসি, তাহলে আপনারা গণঅভিবাসন দেখবেন এবং একই সাথে বেশ কিছু দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অনাহারে থাকবে; আর এটা হবে অনাহারে থাকা মানুষের সবচেয়ে বড় উদাহারণ।
ডব্লিউএফপি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশ্ব নেতাদের উচিৎ সেসব মানবিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেয়া। কেন না এটা সারা বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি বেশ কিছু অঞ্চলকে প্রাধান্য-তালিকায় যুক্ত করেন। অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল এবং পূর্বের সোমালিয়া, কেনিয়ার উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ সুদান ও ইথিওপিয়া। তালিকায় রয়েছে সিরিয়া, যার প্রভাব পড়ছে জর্ডান ও লেবাননে। আরো রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা; যেখান থেকে ১ থেকে দেড় বছর আগের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যা ৫ গুণ বেড়েছে।